শুক্রবার, ১০ জুন, ২০১৬

যতদিন যৌবন ততদিন ঈশ্বর নেই

উহ্! কি অসহ্য যন্ত্রণার
অদৃশ্য মসলিনে মোড়ানো
আমার চারপাশ,
প্রকৃতির সেতারের সুরমূর্ছনা
উদগ্র উত্তেজনা জাগায়
শিরায় উপশিরায়,
খেলে যায় অশরীরী শিহরণ।
ভালোবাসার ভগ্নাবশেষেও
অবশেষে মাথাচাড়া দেয়
কামদেবের জাগ্রত বিগ্রহ।
শুভবুদ্ধির ব্রহ্মতালুতে উঠে
অাচমকা হেচকি,
অতঃপর নিরলস শ্রমে---
নিঃশব্দে কাম আসে
কবিতার পাশ কাটিয়ে।


পাংখাবরদার

পৃথিবীর পোঁদে ---
লাথি মারি আমি অবিরত।
অযথা গৎবাঁধা জীবনাচারে
লিপ্ত যারা তাদের মত্ত মাথায়
নিরুদ্বেগ নিরবতায় বিবেক হেগে যায়
অবিশ্রাম অবিমিশ্র ঘৃণায়।
ভদ্রতার তোয়াক্কা না করে
নাক খোঁটা খ্যাপশা খুড়োর
খাপছাড়া বদভ্যাসের মতো
পৃথিবীর চিরায়ত নিয়ম।
ভাগ্যের ভানুমতির খেলে
খিঁচিয়ে আছে মন ও মেজাজ,
কুঁচকে থাকে থকথকে মগজ।

বিধাতার বৃদ্ধ পৃথিবীতে
উদ্ধত উভচর আমি;
বাস্তবতার উষ্ণ উম্মা
গালে যার জ্বালা ধরায়।
নসিবের নোংরা নর্দমায়
ফেলে দেয়া এঁটো অালু ভাজির
মতো লেপ্টে আছে যার
অন্তহীন অভুক্ত অস্তিত্ব।