মঙ্গলবার, ২১ জুলাই, ২০১৫

শ্মশানচারী


এখন যেখানে বসে আছি এককালে সেটা নাকি শ্মশান ছিল! এখন অবশ্য চারণভূমি। তবে প্রায় রাত্রেই নাকি অদ্ভূত কতক আলোকগুচ্ছ এখানটায় ছুটোছুটি করতে দেখা যায়!!!

তুমুল বাতাস বইছে। মনে হচ্ছে যেন শত সহস্র প্রেতাত্মার একটানা দীর্ঘশ্বাস।


কিন্তু আশ্চর্য!!! এ দীর্ঘশ্বাসে স্বাভাবিক উষ্ণতা নেই। নেই শ্মশানের অভ্যস্ত নিস্তব্ধতাকে খানখান করে দেবার মতো কান্না নামের ধ্বনিগুচ্ছ।
আর থাকবেই বা কেন; বিদেহী আত্মা গুলো যে বেদনার এক জীবন পার হয়ে এসেছে, তাদের আর চাইবার কিছু নেই, তারা জৈবিক চাহিদার উর্ধ্বে। সংসার চিন্তার নির্মম নিভাঁজগুলো তাদের শূন্য করোটিতে অনুপস্থিত।  তাদের শূন্য কোটরে নেই বেদনার বারি, নেই জীবন হারানোর ভয়। তাদের মাটিস্থ অস্থিগুলোতে নেই আর শকুনের শ্যেন দৃষ্টি।

তাই তো তাদের প্রগাঢ় নিস্তব্ধতা, দীর্ঘশ্বাসে সুকোমল শিহরণ জাগানিয়া শীতলতা। সেখানে নেই বিষাক্ত সস্তা নিকোটিনের সুতীব্র মাদকতা।
শুধু শুকনো পাতার মর্মর শব্দে সনাতন শবযাত্রার হরিধ্বনি; অবশ্য ওটা অস্বস্তিকর নয়। নিকোলাই অস্ত্রভস্কির "ইস্পাত" উপন্যাসটি পড়ার অনুপযোগী জায়গা নিশ্চয়ই নয়।
যাক, আমার অনধিকার প্রবেশে উনারা বোধ হয় ক্ষুণ্ন নন। এ গরমে তেনাদের সান্নিধ্য সকলের না হোক; আমার একান্তই কাম্য।

কোন মন্তব্য নেই:

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন